প্রিন্ট এর তারিখঃ Apr 26, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Apr 24, 2025 ইং
শ্রমিক ও মেশিন সংকটে পাটলি ইউনিয়নের হাওরে ধানকাটা ব্যাহত, দুশ্চিন্তায় কৃষক

মোঃ মীরজাহান মিজান, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের বিভিন্ন ছোট হাওরে বোরো ধান পাকলেও শ্রমিক ও হারভেস্টার মেশিনের অভাবে তা কাটতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে জমিতে পাকা ধান রেখে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এর মধ্যে নিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দুশ্চিন্তা।
২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাওর জুড়ে পাকা ধান দুলছে, অথচ শ্রমিক ও যন্ত্রের অভাবে ধান কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ একা বা দুইজন মিলে নিজের জমির ধান কাটছেন। কোনো জমিতে ধান অতিরিক্ত পেকে ঝরে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখনকার অনেক বেকার তরুণ ধান কাটার কাজে আগ্রহ দেখায় না। স্থানীয় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, আবার বাইরের শ্রমিকও আসছে না। যে কয়েকটি মেশিন আছে, তারাও বারবার বিকল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় অনেকেই রাতের ঘুম হারাম করে নিজেই জমিতে নেমে পড়ছেন।
পাটলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের জামাইকাটা, বিলচর, ঘাটিয়ার, এলেছি, আদাকান্দি, খলিয়ার, দলুয়া, ঘাঢ়ার হাওরসহ প্রায় সব হাওরের ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু মেশিন ও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। মাত্র দুই শতাংশ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে এখন পর্যন্ত। এ অবস্থায় তিনি উপজেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত হারভেস্টার মেশিন পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ বলেন, “নলুয়ার হাওর হচ্ছে উপজেলার সবচেয়ে বড় হাওর, তাই সেখানে দ্রুত ধান কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাটলি ইউনিয়নের হাওরগুলো তুলনামূলক ছোট এবং উঁচু জমি। তবে ঘাটিয়ার হাওরে একটি মেশিন ধান কাটছে এবং শনিবারের মধ্যে আরেকটি মেশিন নামানো হবে বলে আশা করছি।”
তবে যত দ্রুতই উদ্যোগ নেওয়া হোক, পাকা ধান হাওরে পড়ে থাকায় চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই গভীর হচ্ছে কৃষকদের মুখে।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Todaysylhet24.com